1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

নান্দাইলে সেবাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত কৃষক, পরিকল্পনামন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা

শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত বিএস কোয়ার্টারগুলো ধ্বংসর শেষ দ্বার প্রান্তে। উপজেলার ১২টি বিএস কোয়ার্টারগুলোর কোনটির দরজা, জানালা ও ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে সেগুলো। এ উপজেলায় প্রতি ইউনিয়নে ১টি করে মোট ১২ টি বিএস কোয়ার্টার রয়েছে। এই কোয়ার্টারগুলোর বেশির ভাগই এখন পরিত্যাক্ত। তাই এগুলোতে বসছেন না কোন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। ফলে কৃষি সেবা গ্রহণ থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা, ঠিক তেমনি পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সনের দিকে তৎকালিন সরকার এই ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন (বীজগার) হিসেবে নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এই কর্মসুচি বাতিল করা হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী-ব্লক সুপার ভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য সংস্কার করে কোয়ার্টারে পরিনত করা হয়। মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে থাকতেন।

সরেজমিন পরির্দশন করে জানা গেছে, এসব ব্যয়বহুল কোয়ার্টারগুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপার ভাইজারদের (বিএস) আবাসিক এবং অফিস হিসেবে ব্যবহারের কথা থাকলেও বর্তমানে বেশীর ভাগ কোয়ার্টারেই উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ বসবাস করছেন না। তাই কোয়ার্টার গুলোতে বসবাস না করা, সংরক্ষণের ও সংস্কারের অভাবে এগুলো এখন অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেকটাই ফাঁকা ও নির্জন হওয়ায় তা বিভিন্ন জীবজন্তুর আশ্রয়স্থল, অপরাধীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোয়ার্টারগুলোতে নজরদারী না রাখায় চুরি হয়ে গেছে এগুলোর দরজা-জানালা। এমনকি এসব ভবন থেকে ইট খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোন কোন কোয়ার্টার এলাকার মাটিও কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বীর বেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদের দখলে রয়েছে বেতাগৈর বিএসকোয়ার্টার, শেরপুরের বিএস কোয়ার্টারের ৫০% চলে গেছে নদীর গর্ভে, খারুয়ার বিএস কোয়ার্টারের ৫০% চলে গেছে ব্যক্তি দখলে। এ যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হলেও এ উপজেলায় বিএস কোয়ার্টারগুলোতে তেমন উন্নয়নের ছোয়াঁ লাগেনি। বিভিন্ন ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ও ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের থাকার কথা থাকলেও এসব কোয়ার্টারগুলোতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

তাই মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনামুল জানান, এ গুলো বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, এসব পরিত্যাক্ত কোয়ার্টার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কর্মচারী কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং