
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ১ কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজের ১০ ঘন্টায় পরও মেলেনি সন্ধান।
নিখোঁজ কিশোরের নাম মো. ওয়াসিম মিয়া (১৬)। সে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নলবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামের মো. উসমান মিয়ার পুত্র।
বুধবার, ১ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নদে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায় ৫ কিশোর। তাদের উদ্দেশ্য, নদ সাঁতরিয়ে ওপারে গিয়ে মাছ ধরবে তারা। পানিতে নেমে সাঁতরিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পরই ওয়াসিম পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। এ সময় সঙ্গীকে বাঁচাতে চেষ্টা করে বাকি ৩ কিশোর। কিছু সময় চেষ্টা করে তারাও পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে। এ দৃশ্য নদে থাকা জেলেদের নজরে পরলে জেলেরা ৩ কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করলেও ওয়াসিমকে পায়নি।
উদ্ধারকৃতরা হলো, একই গ্রামের মো. আতিকুল মিয়ার পুত্র মো. ফাঈম মিয়া (১৫), মৃত বাদল মিয়ার পুত্র মো. আরিফুল (১৭), মো. রুস্তম মিয়ার পুত্র মো. সিয়াম মিয়া (২১) ও আলম মিয়ার পুত্র মো. আদনান মিয়া (১৬)। তবে বাড়ি থেকে ৫ কিশোর বের হলেও ১ কিশোর পানিতে নামেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আহত ৩ কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসিন খন্দকার ও কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক খোঁজাখুজি করে উদ্ধার করতে পারেনি ওই কিশোরকে।
উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন আবদুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপি’র প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রাণপণে চেষ্টা করেছেন। পরে সন্ধ্যা হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। সম্ভবত আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালানো হতে পারে।
নিখোঁজ ওয়াসিমের মা-বাবার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওয়াসিমের এক মামা আবুল কালাম বলেন, নদে মাছ ধরতে যায় ওয়াসিমসহ ৫ কিশোর। সঙ্গীরা বাড়ি ফিরে এলেও ওয়াসিম না ফেরায় তার মা-বাবা ও স্বজনরা শোকে কাতর। মনকে তারা কি দিয়ে বুঝ দিবে?
Leave a Reply