কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১১ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার ১২ এপ্রিল শনিবার উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সাতারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো: ছোবান (৫৫) পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এ বিষয় শিশুটির বাবা মো: নাসির মিয়া বাদি হয়ে গত ১৮ এপ্রিল করিমগঞ্জ থানায় একটি শিশু ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৯। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ঘটনার দিন শিশুটি রাত আনুমানিক ৯টার সময় অন্যান্য শিশুদের সাথে বাড়ির উঠানে পার্শ্বে একটি মাঠে খেলা করছিল। এমতাবস্থায় অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটিকে মজা খাওয়ানোর কথা বলে জোরপূর্বকভাবে তার বসতঘরে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করলে তার ডাকচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যায়।

এ বিষয় শিশুটির বাবা নাসির মিয়া বলেন, আমার মেয়ের এ ঘটনা শুনে আমি ততক্ষনাৎ ঢাকা থেকে চলে আসি।  পরিবারের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আপোষের জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকে তিনি নিরুৎসাহিত করেন। পরে বাধ্য হয়ে আমি করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করি। আমি এই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, আমার ভাইকে  চক্রান্তকরে ফাঁসানো হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্তে যদি আমার ভাই দোষি হয়ে থাকেন তাহলে আমিও তার শাস্তি চাই।

এদিকে এ নাক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক শ্রেণির সাংবাদিকসহ এলাকার নেতৃস্থানীয় একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যারা ম্যানেজ হননি এমন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিউজ না করতে হুমকি দিচ্ছেন-এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে দশ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া রবিবার, ২০ এপ্রিল অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের লোকজন ধর্ষিতা শিশুর বাবা নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় চুরির অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয় করিমগঞ্জ থানার ওসি জানান, অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।