কিশোরগঞ্জে দরিদ্র ভ্যানচালকের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটসহ গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।
গত শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা শহরের তারাপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভ্যানচালক তাবারক মিয়া বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার ১৩ দিন পরেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি এবং আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করে বাদির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাবারক মিয়া।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙচুরের চিত্র ফুটে রয়েছে তাবারকের বাড়িঘরে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঘরের আসবাবপত্র। থাকার জায়গাটুকুও নেই তাদের।
বাদির লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ষাট বছর আগে তাবারক মিয়ার পিতা শামসুদ্দিনের কেনা পৈতৃক বসতবাড়ির কাগজপত্র সম্পুর্ণ নিষ্কন্ঠক হওয়ার পরও প্রতিবেশী খলিল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই ভুমি কুক্ষিগত করতে অপতৎপড়াতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাবারক মিয়া জানান, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে খলিল মিয়া, তার ছোট ভাই জলিল মিয়া, খলিল মিয়ার দুই পুত্র জিসান ও রমজানসহ অপর আরো তিনজন নিকটাত্মীয় তার অনুপস্থিতে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। বাসায় একা থাকা স্ত্রী রাবিয়া তাদেরকে নিবৃত করতে গেলে তাকেও মারধরসহ গালিগালাজ করা হয়। পরে আসামিরা বাড়িতে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
তাবারকের স্ত্রী রাবিয়া জানান, হামলাকারীরা ওই জায়গা ছেড়ে দিতে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তাবারকের মা সালেহা জানান, আমার ছেলে কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে জীবন চালায়। বাড়িঘর ভাঙচুর করে সব লুট করার সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমার উপরও হামলা চালায়। আমরা এর বিচার চাই।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে জলিল মিয়া ও খলিল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনো অভিযুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
Leave a Reply