কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় পুলিশের হাত থেকে মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

রবিবার,২ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুজায়েত হোসেন বাদি হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন  ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাত থেকে মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মামলার আসামি নুরুজ্জামান বাবু উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার কামারকোনা গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।

এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান,পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুজায়েত হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার দিকে একাধিক মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেফতার করতে উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ সদস্যরা।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার সময় তার চিৎকারে আত্মীয়-স্বজন ও তার সমর্থকরা সেখানে ছুটে গিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তারা।

খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেনসহ একদল পুলিশ গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।  

উল্লেখ্য, স্থানীয় এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুজ্জামান বাবু গত বছরের ২০ জুলাই ও ৪ অগাস্ট জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের করা দুটি মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।