কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অভিযান চালিয়ে তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রতন হত্যা মামলার এজহারভূক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার মো. পাভেল(৩৮) তাড়াইল উপজেলার বানাইল এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি রতন হত্যা মামলার ২ নম্বর এজহারভূক্ত আসামি।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি রাত সোয়া দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বগাপুতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডিচ্যানেল ফোরকে বিষয়টি জানান র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) লুৎফা বেগম।
তিনি আরো জানান, গত ১১ জানুয়ারি রাত অনুমান ৬টা থেকে ৭টার সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানাধীন রাউতি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি পদের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বানাইল বাজারে আসামি গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে পাভেলসহ অন্যান্য আাসামিগণ পথসভা করে। পথসভায় সাবেক বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন রতনকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করলে ভিকটিম আবুল হোসেন ১২ জানুয়ারি সকালে আসামি গিয়াস উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করিলে আসামি উত্তেজিত হয়ে অন্যান্য আসামিদের একত্রিত করে দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রাদি নিয়া বাদির বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাদিকে আহত করে বাদির ছেলে ও ভাসুর হামলার কথা শুনে দ্রুত বাড়িতে পৌঁছুলে আসামি তাদেরকে এলোপাথারি আক্রমন করে ভিকটিম আবুল হোসেন রতনকে বুকের ডান পাশে স্তনের উপরে ও কাঁধের নিচে ঘা মেরে মারত্মক রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে এবং তার মাথায় লোহার রড দিয়া আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং বাদির ছেলে রাদুলকে খুনের উদ্দেশ্যে এলোপাথারিভাবে কোপ দিয়ে পিঠে ও হাতে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে। ভিকটিমদেরকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক আবুল হোসেন রতনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হামলার ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী অজিফ খানম বাদি হয়ে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর র্যাব-১৪,সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি মো. পাভেল(৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিকে তাড়াইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply