ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের বনুরা গ্রামের নিরীহ কৃষক আব্দুল আজিজের পালিত কুকুরকে নিয়ে ঝগড়ার জেরে তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ৩টি গরু, ২টি ছাগল, ৩৫ মণ ধান লুটপাটসহ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া আ: আজিজের পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত মতি উল্লাহ’র পুত্র জসিম উদ্দিন, ফয়েজ উদ্দিন ও মইজ উদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত রবিবার সকালে আ: আজিজের পালিত কুকুর স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সময় শিশুদের ধাওয়ায় একই গ্রামের নুর উদ্দিনের পুত্র সাইমনের (৯) পিঠে আচড় দেয় কুকুরটি। তাৎক্ষনিক বিষয়টি সাইমনের পরিবার ও ফয়েজ উদ্দিন গং জানতে পেরে কুকুরটিকে প্রাণে মেরে ফেলতে আসে। কিন্তু এতে বাধা দেওয়ায় আ: আজিজের বাড়ি ঘরে তারা হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, জলমটর ভাংচুর করে। এতে আ: আজিজের স্ত্রী সালেহা খাতুন (৪৯) বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানোর চেষ্টা করলে ওই দিনই রাত ৮টার সময় ফয়েজ উদ্দিন গং আ: আজিজের বাড়ি-ঘরে পুনরায় হামলা করে তার গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গাভী গরু, ১টি ষাড় গরু ও ২টি ছাগল এবং ৩৫মণ ধানসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় আ: আজিজের মেয়ে আলিমা আক্তার ও তার স্বামী এরশাদ মিয়া বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয় এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
পরে এ বিষয়ে আ: আজিজের পুত্র আশরাফুল ইসলাম আরিফ বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদি আরিফ জানান, ফয়েজ উদ্দিন গং ছোট-খাট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
অপরদিকে ফয়েজ উদ্দিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ২টি ছাগল আমাদের বাড়িতে এনে কে বা কারা বেঁধে রেখেছে তা আমরা জানিনা। অন্য কোন বিষয় আমরা জানিনা।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply