কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. জজ মিয়া, সোলেমান, মুক্তার,পলাশ ও সুজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। দুটি লোকাল বাসের মালিক নজরুল ইসলাম নামে এক বাস ব্যবসায়ী এ অভিযোগ করেছেন।
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পাকুন্দিয়া নামা বাজারে উপজেলা যুবদলের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দুটি লোকাল যাত্রীবাহী বাসের মালিক ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি বুলবুল আহমেদ, পাকুন্দিয়া পৌর যুবদলের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পাকুন্দিয়া পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ন আহবায়ক মোবারক হোসেন বাবু।
সংবাদ সম্মেলনে থানায় দায়ের করা অভিযোগ পড়ে দেয়া বক্তব্যে মো. নজরুল ইসলাম বলেন তার বাস দুটি পাকুন্দিয়া থেকে সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডে নিয়মিত চলাচল করে। পাঁচ বছর যাবৎ আমি এই পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আসামিরা দুর্দান্ত প্রকৃতির সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। গত তিন মাস যাবৎ আমার বাস সার্ভিস পরিচালনা করতে হলে তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে তারা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে । এমনকি ঘটনার পূর্বে তারা আমাকে মারপিটও করেছে।। ঘটনার সময় আসামিরা লোহার রড,কিরিজ,দা হাতে বাস স্ট্যান্ড এসে আসামি রফিক, জজ মিয়া, সোলেমান, মুক্তার, পলাশ ও সুজন আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি বলি আমিও একই এলাকার সন্তান তাই আমি একটি টাকাও চাঁদা দিবনা। ওই সময় আসামিরা সকলে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র নিয়ে আমাকে খুন জখমের ভয় দেখায়। পরে সকল আসামি আমার বাসের অতিরিক্ত একটি চাকা, দুই গাড়ির ব্যাটারি ও টুল বক্সসহ যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। যার মূল্য অনুমান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এরপর আসামিরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার আগে আমাকে বাস চালাতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। এছাড়া আসামি রফিক বাস পুড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। বর্তমানে আমার বাস বন্ধ আছে। স্থানীয়ভাবে বিচার পাওয়ার চেষ্টা করায় মোকদ্দমা দায়ের করতে দেরি হলো।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ৬ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়ে একটি জিডি করেছেন মো. নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply