কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচির জন্য ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি স্কুলের বিরুদ্ধে টিকার নিবন্ধনের জন্য ছাত্রী প্রতি পঞ্চাশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর সরেজমিন ত্রিশাল নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মোশারফ হোসেন প্রতিটি ছাত্রীর কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা করে নিয়ে নিবন্ধন করছেন। শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে এই আবেদন করছেন।
কিশোরীদের টিকাদান ক্যাম্পেইনে কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মোশারফ হোসেন প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে দোকানদাররা পঞ্চাশ টাকা নেন। আমরাও নিচ্ছি কারণ আমাদের পরিশ্রম হয় এবং ইন্টারনেট বিল আছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের সম্মতি রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ত্রিশাল নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৮৮০জন শিক্ষার্থীকে টিকার জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। সে জন্য ২১ অক্টোবর থেকে নিবন্ধন করা শুরু হয়। স্কুলের বাইরে কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করলে তারা ২০টাকা করে নিচ্ছেন। যেখানে স্কুল থেকে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা সেথানে দ্বিগুণের বেশী টাকা নেওয়াটা দুঃখজনক বললেন কয়েক জন অভিভাবক। আব্দুল আউয়াল নামের একজন অভিভাবক জানান, শুনেছি বিনামূলে টিকা দিবে এখন মেয়ে এসে বললো ৫০টাকা লাগবে তাই দিয়েছি। টাকা নেয়ার নিয়ম না থাকলে কেন নেয়া হলো জানতে চাই।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মোশারফ হোসেন জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের সম্মতিতেই টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে দোকানদাররা পঞ্চাশ টাকা নেন। আমরাও নিচ্ছি কারণ আমাদের পরিশ্রম হয় এবং ইন্টারনেট বিল আছে।
প্রধান শিক্ষক মো.রফিকুল ইসলাম জানান, আমি স্কুলের কাজে শিক্ষা বোর্ডে আছি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানিনা।
Leave a Reply