
শুরু থেকেই বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেন। নির্বিচারে গুলি করে, বিক্ষোভকারীদের হয়রানি এবং পুলিশ হেফাজতে সমন্বয়কারীদের নির্যাতনের মাধ্যমে শত শত ছাত্রকে হত্যার নির্দেশ দেয়া বিতর্কিত পুলিশ অফিসাররা এখনও পলাতক রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের অবস্থান নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। এ নিয়ে বর্তমানে পুলিশ বিভাগে চলছে নানা আলোচনা। যাই হোক, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য ১ অগাস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা এখনো অনুপস্থিত রয়েছেন। এআইজি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) ইনামল হক জানিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ডিআইজি ১ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ জন, পুলিশ সুপার ২ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১ জন, সহকারী পুলিশ সুপার জন, পরিদর্শক ৫ জন, এসআই এবং হেড কনস্টেবল ১৪ জন, এএসআই ৯ জন, নায়েক ৭ জন এবং কনস্টেবল ১৩৬ জন।
তিনি আরো জানান, মোট ১৮৭ জনের মধ্যে ৯৬ জন গড় হাজির, ৪৯ জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং অন্য কারণে তিনজন অনুপস্থিত রয়েছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ , যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, এসএম মেহেদী হাসানসহ ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply