সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের এক দফা দাবীর আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন নান্দাইল উপজেলার ৫জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন। আহত ও নিহতদের অনেকেই শিশু, ছাত্র, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবী। এছাড়া স্বৈরাচার সরকার পদত্যাগের পরবর্তী আনন্দ মিছিল ও ছাত্র সমাজের বিজয় উল্লাস দেখতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বেসরকারি চাকুরীজীবী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। ৫ অগাস্ট ঢাকায় যাত্রাবাড়ি থানার সামনে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহতন হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের লোকজন জানায়। একই দিনে মুশুল্লী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার পুত্র সাকিবুল ইসলাম সাজু (১৪) গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি মাওনা এলাকায় হার্ডওয়ারী দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ২১ জুলাই জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. জামান মিয়া (১৭) নরসিংদী শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সেখানে তিনি তানিয়া ডায়িং কোম্পানীর শ্রমিক ছিলেন। এছাড়া ২০ জুলাই গাজীপুরের সাইনবোর্ড বাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নান্দাইল ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে কাচাঁমালের ব্যবসায়ী হুমায়ূন মিয়া (২৪) এবং একই দিনে ঢাকায় যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চামারুল্লাহ গ্রামের আজিজুল ইসলাম কুসুমের ছেলে মো. জুবায়োর মিয়া (১৫)। তিনি ঢাকার শনিরআখড়ায় একটি মুদির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
অপরদিকে কোটা আন্দোলন ও এক দফা দাবির আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে আহত হয়েছেন আরো ৮ জন। আহতরা হচ্ছেন নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লি ইউপি’র কামালপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র হাফেজ ইফতেখার তায়িফ (গুলিবিদ্ধ), মোয়াজ্জেমপুর ইউপি’র নয়নপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ফাজিল ৩য় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবু নাঈম (গুলিবিদ্ধ), মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে (ছাত্র) ফয়সাল আহমেদ (গুলিবিদ্ধ) ও লিটন মিয়ার ছেলে পিন্টু মিয়া (গুলিবিদ্ধ) আচারগাঁও ইউপি’র আমাদোবাদ কান্দাপাড়া গ্রামের হাদিছ মিয়ার ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক শামিম মিয়া (গুলিবিদ্ধ) ও আচারগাঁও বীরপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তায়েফ (টিয়ারশেল), পৌরসভার ভূইয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে কলেজের ছাত্রী সাবিহা ইমনাত (লাঠিচার্জ) এবং মোয়াজ্জেমপুর ইউপি’র মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের আজিজুল ইসলাম বাবুর শিশু কন্যা তানিয়া জান্নাত তৃণা (টিয়ারশেল)।
Leave a Reply