*৪ জন পুলিশকে মেরেছিলাম

* ৭০ রাউন্ড গুলি রেখেছিলাম

*২/৩ টি গাড়ি পুড়িয়েছিলাম 

গত ইউপি নির্বাচনে ৪ জন পুলিশকে আমরা মেরে আহত করেছিলাম,৭০ রাউন্ড গুলি রেখে দিয়েছিলাম,২/৩ টি গাড়ি পুড়িয়েছিলাম বলে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

গত শনিবার, ৬ জুলাই বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কুড়েরপাড় বডু মার্কেটে এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় বলেছেন,গত নির্বাচনে আমরা ৪ জন পুলিশকে আহত করেছিলাম,৭০ রাউন্ড গুলি রেখেছিলাম,২/৩ টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপরেও আমি পিছপা হইনি। এর পরেও আপনারা যারা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য আপনারা কি করেছেন? কিছুই করেননি।

বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান আরো বলেন,আমি ছাত্রলীগ করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, আমি কোন হুমকি ধমকিকে ভয় পাই না।

এ বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,এ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন,এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তার বিরুদ্ধে তখন কোন মামলা হয়েছিলো কিনা তা খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফাউজুল কবির খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম জানান,এ বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। তিনি ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয় বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন,এ ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো ২০২২ সালে।আমি জেল ও খেটেছি এই মামলায়।বর্তমানে এ মামলায় আমি জামিনে আছি।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলার বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

এদিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।তাদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মোল্লা বাবুল,বৌলাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন,বৌলাই ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,মো:আরিফুল ইসলাম সোহাগ,মো:শহিদুল ইসলাম।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৭ জুলাই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো ৪ জুলাই, যাচাই-বাছাই হয় গত ৫ জুলাই, প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১০ জুলাই ও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১১ জুলাই।