1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্যসেবায় জেলায় প্রথম পাকুন্দিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স 

এম এ হান্নান  (পাকুন্দিয়া) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

 

স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে পঞ্চম এবং সারা দেশের মধ্যে ২১তম স্থান অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলার টিএইচএ ডা. নূর-এ-আলম খান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা কর্তৃক গত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতি মাসেই এ তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ৩১ মে চলতি  মাসের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে হাসপাতালে অপারেশনের সংখ্যা, আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে, ইসিজি, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগির সংখ্যা এবং মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবার ওপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর প্রমাণ মেলে প্রতিবেদনে।

গত জানুয়ারিতে এ উপজেলার স্থান ছিল সারাদেশে ৩৩তম, ফেব্রুয়ারিতে ২৬তম এবং মার্চে ২১তম। প্রতিনিয়ত অগ্রগতি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির। স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালটিতে বর্তমানে প্রসবসেবা (নরমাল ও সিজারিয়ান), আল্ট্রা, এক্সরে, বিভিন্ন রক্তের পরীক্ষা চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। যেখানে আগে বহির্বিভাগে ৪৫০ হতে ৬০০রোগি হতো সেখানে বর্তমানে ৭৫০ থেকে ৮৫০ জন রোগি আসছেন। জরুরি বিভাগেও বেড়েছে রোগি সংখ্যা। গড়ে প্রতি শতাধিক মানুষ জরুর বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সোমবার  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। প্যাথলজি ল্যাব, আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কাঙ্খিত সেবা পেয়ে অনেককে হাসিমুখে হাসপাতাল ছাড়তেও দেখা গেছে।

হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালে প্রায় ২০ বছর ধরে চাকরি করছি। আগের তুলনায় গত দুই বছর ধরে সবদিক থেকে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্যাথলজি ল্যাবে রক্তজনিত সব পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই এসব সেবা পাচ্ছেন রোগি।

জরুরি বিভাগে থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো.কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, সার্বক্ষণিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা থাকে। গড়ে প্রতিদিন ১শ’র অধিক রোগি জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

রোগিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের চেয়ে হাসপাতালে সেবার মান ভালো। ওষুধ পাওয়ার পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে হাসপাতাল থেকে এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্ত পরীক্ষা এবং সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। কাঙ্খিত সেবা গ্রহণে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন তারা।

স্বপ্না আক্তার নামের এক রোগি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছি। আজ ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে বলেছেন। হাসপাতাল থেকেই মাত্র ২০০ টাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়েছি। বাইরে করালে টাকা বেশি লাগতো।

হুছনা  নামে আরেকজন রোগি স্বজন জানান, হাসপাতালের সেবার মান আগের চেয়ে অনেক ভালো। গরিব মানুষ বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন। পাশাপাশি অসহায় হতদরিদ্র নারীরা হাসপাতাল থেকে সুলভ মূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে পারছেন। সেবার মান ভালো হওয়ায় অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম খান বলেন, এই অর্জনের সঙ্গে জড়িত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব ডাক্তার, নার্স/মিডওয়াইফ, অফিস স্টাফ, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ওয়ার্ড বয়, আয়া, হেলথ অ্যাসিস্টেন্ট, ফিল্ড স্টাফ, সিএইচসিপি, মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারসহ হাসপাতালের প্রত্যেক স্টাফকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং