বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ৩ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

৫ জুন, বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনার কাজ। ৪র্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের ৩ টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এ নির্বাচন। উপজেলা ৩ টি হলো বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব। নির্বাচনকে ঘিরে সবকিছু ছাপিয়ে এ ৩ টি উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।ভোটাররা সানন্দে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

তবে বাজিতপুর উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। ভোটারদের তেমন দীর্ঘ লাইন দেখা যায় নি। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।

বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার কমল রঞ্জন দাস জানান, বাজিতপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে মোট ভোটার ৩ হাজার ১৩৯ জন।দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়েছে  ৪০২ । এ কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৮ টা।

আফতাব উদ্দিন কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার একরাম হোসেন জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮০০ জন।
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০৬ টি। এ কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৭ টা।

বাজিতপুর সরারচর সৌদামনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো:নাজমুল হুদা জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৭১ জন। বেলা ১১ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫০ টি।

সরারচর শিবনাথপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার অজয় রায় জানান,এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৭৩ জন। সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০৫ টি। এ কেন্দ্রে মোট বুথ রয়েছে ৬ টি।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে ভোটাররা শান্তিপুর্ণভাবে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে জোরদার করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরি জানান,’ ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন ছিলো। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ ও আনসার সদস্যরা  আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন ছিলো।