বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার, ২৫ মে দিনব্যাপি জেলা শহরের সতাল এলাকার গাংচিল কনভেনশন সেন্টারে এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি তারিক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম বার,কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফএ’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনডিসি রওশন কবির,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিক,সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান,চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ,জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ শেষে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন এর ভাইসচেয়ারম্যান কে এম অলিউর রহমান বাবুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফএ’র পরিচালক আলহাজ্ব মো:মোমেন সরকার,বিএফএ’র পরিচালক মো:রেজাউল করিম,বিএফএ’র পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান খান,বিএফএ’র পরিচালক আসাদুজ্জামান ফারুক,বিএফএ’র পরিচালক মো:আজিজুর রহমান, বিএফএ’র পরিচালক মো:শহিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম বার বলেন,’কৃষক ত ওই লোক যার চামড়ায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আছে। যিনি কৃষক তিনি বন্দের (কিশোরগঞ্জের ভাষায়) মাঝখানে কাজ করে।ওই কৃষকের জন্য আমাদের জন্য যে দায়বদ্ধতা তা আমরা সঠিক ভাবে পালন করি না।আমি যে আহার করি তা কৃষি উৎপাদন করে।কৃষির উন্নয়ন হলে জাতীর উন্নয়ন হবে। দিনশেষে আমার খাবার টা কৃষকই উৎপাদন করে।তাই কৃষক ভাল থাকলে আমি ভাল থাকবো।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন,’সরকার সার অধিক মূল্যে কিনে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করে। কৃষকরা তাদের যতটুকু প্রয়োজন তারা সেই পরিমাণ সার নিতে পারছে। ‘তিনি আরো বলেন,’অধিকাংশ মানুষ কৃষি পরিবারের মানুষ।আমরা আপনাদের পাশে আছি।আমরা সকলেই আপনাদের কথা ভাবি। আপনাদের জন্য কাজ করতে যেয়েই আমাদের সময় অতিবাহিত করি।
আপনারা যারা লাইসেন্স ভাড়া দেন এটা ঠিক না। এটা আইনানুগ ভাবে ভাড়া দেয়ার সুযোগ নাই।আমরা সবাই আইন মেনে চলি,নীতি মেনে চলি।কৃষকের পাশে দাঁড়াই।আমরা যে খাবার খাই সেই ভাত কিভাবে আসছে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি? কৃষকের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে এই খাদ্য আমাদের প্লেটে আসে।’
Leave a Reply