কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
মঙ্গলবার, ১৪মে বিকালে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর ১% থেকে প্রাপ্ত ১০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্য থেকে চারটি প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া ওই দিন নির্মাণাধীন বাকি আরো দুইটি কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এস.আর.এম.জি কিবরিয়া, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মামুন মিয়া ও ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ প্রমূখ।
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিলো, ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল বাথরুমের পানির লাইন পুনঃস্থাপন ও ইউনিয়ন পরিষদের সিড়ি ঘরের দরজা স্থাপন, ইউনিয়ন পরিষদে এলজিইডি কক্ষের ফাইল সংগ্রহের জন্য স্টিলের আলমারী ক্রয় ও ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে ফাইল কেবিনেট ও পরিষদের জন্য একটি কাঠের তৈরী সেক্রেটারীয়েট টেবিল ক্রয়, ৩. নলবাইদ চড়পাড়া গাবরু মিয়ার বাড়ির সামনে ৩ফুট প্রস্থ ও ৮ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প ও ইউনিয়ন পরিষদে এলজিইডি কক্ষে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ফার্নিচার সরবরাহ প্রকল্প।
এছাড়া নির্মাণাধীন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর ইউনিয়নের সেচের পানী নিষ্কাসনের জন্য মকবুল আহম্মেদের বাড়ির সামনের ড্রেন নির্মাণ ও নাপিতেরচর শ্রীশ্রী জয়কালী মন্দির প্রকল্প।
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ বলেন, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর বাবদ প্রাপ্ত ১% থেকে ৬টি প্রকল্প বাবদ মোট ১২ লাখ টাকা অনুমোদন পান তিনি। এসব টাকা থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ মোট ১লাখ ২৬ হাজার টাকা বাদ দিয়ে ৬টি চেকের মাধ্যমে মোট ১০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলিত টাকা দিয়ে ইতোমধ্যে চারটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দুইটি প্রকল্পের কাজ জুন ক্লোজিং এর আগেই শেষ করা হবে। এসব কাজ করতে উত্তোলিত টাকার চেয়ে আরো বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে- এমন দাবী তার।
Leave a Reply