কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত বেসিক কম্পিউটার ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।
বুধবার, ৮মে বিকালে এ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়।
এ নিয়ে দুই ব্যাচে চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে উপজেলার ২টি মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ১৭ টি প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার, ২ মে সকালে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দ্বিতীয় ধাপে দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র সূত্রধর, আইসিটি অধিদপ্তরের কুলিয়ারচর উপজেলা প্রোগ্রামার মো. রাকিবুল হাসান ও বাজিতপুর উপজেলা প্রোগ্রামার মহিবুর রহমান খান প্রমূখ। এসময় দুইটি মাদ্রাসা সহ ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ২০ জন শিক্ষার্থী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।
এর আগে গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলিয়ারচর বাজারস্থ বেগম নুরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কম্পিউটার ল্যাবে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
ওইদিন উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরে আলম, আইসিটি অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা প্রোগ্রামার মো. জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলতাফ হোসেন, বেগম নুরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান ও এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ছিলেন, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সারোয়ার জাহান, আইসিটি অধিদপ্তরের কুলিয়ারচর উপজেলা প্রোগ্রামার মো. রাকিবুল হাসান ও বাজিতপুর উপজেলা প্রোগ্রামার মহিবুর রহমান খান। ওই প্রশিক্ষণে উপজেলার ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, ছাত্রজীবন থেকে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিমনস্ক করে গড়ে তুলতে স্কুলে স্কুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আর এ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও আইসিটি ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, দুই দিনব্যাপী কম্পিউটার ও সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা অনেক খুশি। প্রশিক্ষণার্থীরা এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আরো দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ হলে অনেক কিছু শেখা যেতো। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এ ধরনের আরো দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণের দাবি জানান।
Leave a Reply