1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

চাপানো গেলনা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে, রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক।।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

 

কটিয়াদীর চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস বুরহান হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল। ফলে উদোর পিণ্ডি  ‍বুধোর ঘাড়ে আর চাপানো গেলোনা।  

গ্রেফতার নয়ন মিয়া (৩৬) কটিয়াদী উপজেলার নাগের গ্রাম(পূর্বপাড়া) এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে।

সোমবার,  ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডিচ্যানেল ফোরকে বিষয়টি জানান, র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী  অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ বিকাল অনুমান পৌনে ৫টার সময় ভিকটিম মো. বুরহান(২৩) তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে শিবনাথ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ভিকটিম ঘরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ. দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে ভিকটিমের পরিবার লোকমুখে সংবাদ পায় যে, কটিয়াদী থানাধীন নাগেরগ্রাম সাকিনস্থ দত্তের বাড়ীর পশ্চিম পাশে মুলতার মোড় কুমড়ি বিলের মাঝখানে জনৈক হাতিম মিয়ার ধান ক্ষেতে একটি লাশ পড়ে আছে। ওই সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম মো. বুরহান(২৩) এর ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় মৃতের মা মোছা. পারভিন আক্তার(৩৮) বাদী হয়ে কটিয়াদী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের ধরতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং  গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই হত্যাকণ্ডের ঘটনার সাথে নয়ন মিয়া জড়িত মর্মে নিশ্চিত হয়। নয়নকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ নেত্রকোনা জেলা কলমাকান্দা থানাধীন খারনৈ এলাকায় আতœগোপনে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ প্রচেষ্টার তাকে গ্রেফতার করা হয়।     

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেভাজন আসামি নয়ন মিয়া ওই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকার করেন এবং আরও স্বীকার করেন যে, ভিকটিম মো. বুরহান এই মামলার আসামি জাকির হোসেন অজুর জ্ঞাতি সম্পর্কে ভাতিজা এবং তার সাথে খুব সুসম্পর্ক ছিল। আসামি নয়ন মিয়া ও জাকির হোসেন একই সাকিনস্থ নিজাম উদ্দিন এর ছেলে এরশাদ হত্যা মামলার আসামি। তারা জেল থেকে জামিনে বের হয়ে উক্ত মামলাটি আপোস করার জন্য একাধিক বার নিজাম উদ্দিনের সাথে বিভিন্ন মারফতে আপোসের চেষ্টা করে। কিন্তু নিজাম উদ্দিন আপোসে সম্মত না হওয়ায় এবং ভিকটিম মো. বুরহানের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে আসামি জাকির হোসেন ওরফে অজুর আত্মীয়স্বজনদের বিরোধ থাকায় আসামি জাকির হোসেন ও নয়ন মিয়াসহ অন্যান্য পলাতক অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামি মিলে ঘটনার প্রায় ১৫/২০ দিন আগে ভিকটিম মো. বুরহানকে হত্যা করা এবং  হত্যার দায় নিজাম উদ্দিনের উপর চাপানোর পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই তারা বুরহানকে ২৬ মার্চ রাত ১টার দিকে হত্যা করে।

গ্রেফতার আসামিকে কটিয়াদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।   

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং