বাজিতপুরের চাঞ্চল্যকর ওয়াসিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজিব খান(৩২)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প ও র্যাব-১, সিপিএসসি ‘র একটি যৌথ আভিযানিক টিম।
গ্রেফতার রাজিব খান(৩২) বাজিতপুর উপজেলার ধোবিপাথর এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার, ৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলার অপর আসামি মো. আফজাল খান(৩৪)কে বাজিতপুর উপজেলার ধোবিপাথর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আফজাল খান বাজিতপুর উপজেলার ধোবিপাথর এলাকার মো. আমির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মৃত ওয়াসিম, পিতা- ইসহাক মিয়া, বাজিতপুর জেলার কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাজারে কাঁচা সবজির ব্যবসা করতেন। তিনি ব্যবসার কাজে প্রায়ই দুই এক দিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল এলে তিনি বিকাল আনুমান সোয়া চারটার দিকে বসতঘর থেকে বাইরে যান।পরবর্তীতে তিনি আর বাড়িটি ফেরত আসেন নাই।পরবর্তীতে ২৯ জানুয়ারি বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে বাজিতপুরে উপজেলার ধুপি পাথর পুরান খাল গ্রামের মধ্যবর্তী দুলদুলিয়া নামক চলমান খালের পানি থেকে মৃত ওয়াসিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার মরদেহ বাজিতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী জুবেদা আক্তার (৩০) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বর্ণিত বিষয়টি লোকমুখে প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা হওয়ার পর সন্দেহভাজন অনেকেই এলাকা ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পলাতক সন্দেহভাজন আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্তকারী ইউনিট পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার জড়িত থাকার বিষয়ে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডিচ্যানেল ফোরকে জানিয়েছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট (বিএন) মো. ফাহিম ফয়সাল।
Leave a Reply