ভৈরবে চাঞ্চল্যকর সজীব হত্যার মূলহোতা আলী ডাকাত গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক।।

0
40

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের চাঞ্চল্যকর ডকইয়ার্ড ব্যবসায়ী  আশিকুর রহমান সজীব হত্যার মূলহোতা আলী হোসেন ওরফে আলী ডাকাতকে (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।

গ্রেফতার আলী হোসেন ওরফে আলী ডাকাত ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রাসাদ আদর্শ এলাকার মৃত মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার, ২২ মে রাত সাড়ে তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার দাউদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী বিডিচ্যানেল ফোরকে জানান, গত ১৩ মে  রাত সাড়ে ৮ টায় পুলিশ খবর পায় ভৈরব- কিশোরগঞ্জ সড়কে কালিকাপ্রসাদ এলাকার শিল্পনগরী সংলগ্ন সড়কে একটি লাশ পড়ে আছে। লাশের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলও রাস্তায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভিকটিমের স্ত্রী হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করে। হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে গত ১৫ মে  নিহতের স্ত্রী হামিদা বেগম স্বর্ণা (২৭), বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানার মামলা নং-২৮, তারিখঃ ১৫/০৫/২০২৩ খ্রি. ধারা-৩৯৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এ একটি দস্যুতাসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র‌্যাব -১৪, সিপিসি-২, ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ও আলী হোসেন ওরফে আলী ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত আলী হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ঘটনার দিন গত ১৩ মে দুপুর অনুমান ২টার  দিকে আসামী সোহাগ তাকে মোবাইলে কল দিয়ে সন্ধ্যার সময় কালিকাপ্রসাদ এলাকায় থাকতে বলেন। তারপর, ঘটনার দিন ওই স্থানে তিনি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আসলে অপর ৩ সহযোগী ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর এলাকার  সোহাগ (৩২),  একই উপজেলার আলুকান্দা এলাকার ফজলু (৫০) ও ভৈরব উপজেলার মানিকদি এলাকার বুদ্দি (৩০)’র সাথে একত্রিত হয়। পরবর্তীতে ফজলু পাশের একটা প্রজেক্ট থেকে মাছ ধরার (বট সূতার) জাল নিয়ে আসেন। তারপর, তারা জালের এক মাথা গাছের খুঁটিতে ও অন্য মাথা বিদ্যুতের পিলারের সাথে ঢিল করে বাঁধেন। এই সময়, একটি মোটর সাইকেল দ্রুত গতিতে আসা শুরু করলে তারা জালের দড়িটাকে বাইকারের বুক পর্যন্ত উঠিয়ে শক্ত করে টানটান করে ধরেন। এতে করে মোটরসাইকেল আরোহি বাইক থেকে ছিটকে দুরে পড়ে যান। তারপর তারা উক্ত ভিকটিমের নিকট থেকে টাকা পয়সা ছিনতাই করে পালিয়ে যান।

 গ্রেফতার আসামি আলী হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে ভৈরব থানায় ৬ টি মামলা রয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব ঐকান্তিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।

পোষ্ট এর সময় 7 days by Ahmad Farid

নিচে কমেন্ট করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে