ইউনিয়ন পরিষদে দরবার করে পক্ষপাতদুষ্ট বিচার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোরপূর্বক স্বাক্ষরসহ চেক বইয়ের দুটি পাতায় এবং তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার ধানীখোল ইউনিয়নের এক নারী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন নাহার (৩২) এর সাথে প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পর পারিবারিক ভাবে ২০১৭ সালে মোকসেদুল হাসানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। পরে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সৌদি আরব চলে যান। করোনা মহামারীর সময় স্বামী মোকসেদুল হাসান প্রবাসে মৃত্যু বরণ করলে স্বামীর পরিবারের লোকজন ওয়ারিশী সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় জেসমিনকে। পরে তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইলে পরিচয়ের এক পর্যায়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন জেসমিন। মিজান যখন জানতে পারেন জেসমিনের একাউন্টে টাকা রয়েছে তখন জেসমিনকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেলামেশার তথ্য ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি প্রদর্শন করেন মিজান।
মামলার বাদী জেসমিন নাহার জানান, দাবীকৃত টাকা পাওনা টাকা হিসেবে দাবী করে তা আদায় করতে ধানীখোলা ইউপি চেয়াম্যানের কাছে নালিশ করেন মিজান। ধানীখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল ৬ এপ্রিল দরবার আহবান করেন।
এসময় চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল মিজানুর রহমানের পক্ষাবলম্বন করে কথিত হাওলাত টাকা ফেরত দেওয়ার রায় দেন বলে দাবী করেন বাদী। চেয়ারম্যানের নির্দেশে জেসমিনের বাড়ী থেকে সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ কর্পোরেট শাখায় জেসমিনের নামে একাউন্ট এর চেক বই নিয়ে এসে চেয়ারম্যান ভয়ভীতি দেখিয়ে চেকের দুটি পাতা যাহার নং- যথাক্রমে ৫৬২৩৮৮৫ ও ৫৬২৩৮৮৬ তে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। এসময় একশত টাকার নন জুডিশিয়াল তিনটি স্ট্যাম্পের সাদা পাতায়ও জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন চেয়ারম্যান।
পরবর্তিতে গত ১০ এপ্রিল জেসমিন চেকের দুটি পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান বলেন ওইগুলো মিজানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং-৩০৮/২০২৩)।
তবে মামলার ১নং বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে দরবারের মাধ্যমে সবকিছুরই সমাধান করা হয়েছে। জোর পূর্বক এখানে কিছু করা হয়নি।
পোষ্ট এর সময় 3 weeks by Ahmad Farid